সাঁ-দেনিতে রোববার রাতে বদলি হিসেবে নামা লিলের স্ট্রাইকার এদেরের গোলে ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট জেতে পর্তুগাল।
দেশের হয়ে একটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফাইনাল খেলতে নামা রোনালদোকে চোট নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ২৫তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয়।
ম্যাচ শেষে অবশ্য রোনালদো ভীষণ খুশি, “এটা আমি লম্বা সময় ধরে চেয়ে এসেছি, সেই ২০০৪ থেকে। আমি ঈশ্বরের কাছে আরেকটি সুযোগ দেওয়ার প্রার্থনা করেছিলাম।”
“পর্তুগালের মানুষের এটা প্রাপ্য; আমাদের খেলোয়াড়দের এটা প্রাপ্য।”
ইউরো জয়ে পর্তুগালের মূল ভরসা ছিলেন রোনালদোই। চোট নিয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হওয়ার পর অনেকেই হয়ত মনে করেছিলেন, পর্তুগাল আর পারবে না। কিন্তু রোনালদো কখনোই বিশ্বাস হারাননি।
“দুর্ভাগ্যবশত, আমার জন্য বিষয়গুলো ভালোভাবে যায়নি। আমি প্রথম দিকেই চোট পাই। কিন্তু এই খেলোয়াড়দের উপর আমি সব সময়ই বিশ্বাস রেখেছি। তাদের মান ও সামর্থ্য আছে, একই সঙ্গে জয়ের জন্য আমাদের কোচের কৌশলও আছে।”
২০০৪ সালে দেশের মাটিতে গ্রিসের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছিল পর্তুগালের। সেই ম্যাচের শুরুর একাদশে খেলা রোনালদোর বয়স ছিল তখন ১৯ বছর। শেষ পর্যন্ত দেশকে শিরোপা জেতাতে পেরে গর্বিত রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফরোয়ার্ড।
“আমরা ফ্রান্সকে হারিয়েছি এবং আমি উচ্ছ্বসিত। এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্তগুলোর একটি।”
“আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আমি জাতীয় দলের হয়ে একটি শিরোপা জিততে এবং ইতিহাস গড়তে চাই। আর এটা আমি করেছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে বিষয়গুলো আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।”