নিজেদের মাঠে গোলের প্রথম সত্যিকারের সুযোগের জন্য ৩৩তম মিনিটে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় পর্তুগালকে। ডেনমার্কের রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যান ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের অধিনায়ক বল দেন মৌতিনিয়োকে, কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সুযোগটি নষ্ট করেন তিনি।
ছয় মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারতো ফের্নান্দো সান্তোসের দল। দানিলোর নৈপুণ্যে বল পান নানি, কিন্তু তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড নিলে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের।
পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের প্রথম সুযোগটি তৈরি করে পর্তুগাল। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রোনালদোর ক্রস ধরতে পারেননি চিয়াগো। প্রতিপক্ষ বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বল তুলে দেয় সাউথ্যাম্পটনের ডিফেন্ডারের পায়ে; কিন্তু বিপজ্জনক জায়গায় থেকেও বল বাইরে মারেন তিনি।
৫৮তম মিনিটে আবার সুযোগ তৈরি করেন রোনালদো। তার জোরালো শট ঠিকমতো ধরতে পারেননি স্মেইকেল। ফিরতি বলে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন চিয়াগো কিন্তু এবার দারুণ দক্ষতায় বল গ্লাভসবন্দি করেন লিস্টারশায়ারের গোলরক্ষক।
৬৬তম মিনিটে আর পারেননি স্মেইকেল। দুই জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শটে স্মেইকেলকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান মৌতিনিয়ো।
৭৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ন সুযোগ পান সিলভা। কিন্তু পর্তুগালের এই খেলোয়াড় বাইরে মেরে দারুণ সুযোগটি নষ্ট করেন।
এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে সরাসরি ফ্রান্সে যাওয়ার সুযোগ আছে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দুই নম্বরে থাকা ডেনমার্কের।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে সার্বিয়ার কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়া আলবেনিয়া ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলে দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে চূড়ান্ত পর্বে খেলবে দলটি। ড্র করলে বা হারলে তৃতীয় সেরা দল হিসেবে প্লে অফে খেলার সুযোগ মিলতে পারে তাদের।