এই সেভিয়ার বিপক্ষেই মৌসুমের শুরুতে উয়েফা সুপার কাপে ৪-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও হারতে বসেছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে পরপর তিন গোল করে স্কোরলাইন ৪-৪ করে ফেলে টানা দুইবারের ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। পরে পেদ্রোর গোলে শেষ রক্ষা হলেও বার্সেলোনার রক্ষণের সামর্থ্য পড়ে প্রশ্নের মুখে।
এবারের ম্যাচটি আবার হতে যাচ্ছে সেভিয়ার মাঠে। পরিচিত পরিবেশে খেলার সুবিধা তাই বাড়তি অনুপ্রেরণা হবে দলটির জন্যে। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
সেভিয়ার বিপক্ষে মৌসুমের শুরুর ওই ধাক্কার কদিন পরেই পিকে-মাসচেরানোদের সামর্থ্য নিয়ে আরও বড় প্রশ্ন ওঠে। স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম লেগে আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় তারা। সেবার শেষ রক্ষাও হয়নি, ফিরতি লেগে ১-১ এ ড্র করে শিরোপা হারায়। সবশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর সেল্তা ভিগোর মাঠে ৪-১ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা।
মৌসুমের শুরুতেই বারবার এমন চিত্র নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তায় ফেলেছে কোচ এনরিকেকে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে চোট সমস্যা।
মাঝ মাঠের খেলোয়াড় রাফিনিয়া আগে থেকেই দলের বাইরে। সঙ্গে মেসি-ইনিয়েস্তার চোট। মূল গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো, টমাস ভারমালেন ও আদ্রিয়ানো কোরেইয়া যদি সুস্থ হয়ে না ফেরেন, তাহলে নিয়মিতদের মাত্র ১৪ জনকেই সেভিয়ার বিপক্ষে পাবেন এনরিকে। তাই বাধ্য হয়েই তাকে বার্সা ‘বি’ দলের খেলোয়াড়দের ডাকতে হবে।
তারপরও দলটি যখন বার্সেলোনা তখন শত সমস্যার মাঝেও জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে সমর্থকেরা। তাছাড়া লিগে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জেতা সেভিয়াও তেমন একটা ছন্দে নেই। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।
সেভিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়েও অনেক এগিয়ে বার্সেলোনা। ২০১০ সালের পর থেকে দলটির বিপক্ষে এখনও হারেনি লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এ পর্যন্ত ৪৬ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৬ ম্যাচ জিতেছে বার্সেলোনা, ১০ ম্যাচ জিতেছে সেভিয়া, ১০টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।