দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপাতা গ্রামে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম (২৮) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালদিঘী গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
দেবীডুবা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। অব্যাহত গরু চুরি ঠেকাতে লোকজন কয়েক দিন ধরে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছিল।
তিনি বলেন, সোমবার গভীর রাতে সোনাপাতা গ্রামে আব্দুল বাছেদ ওরফে বাচ্চাউ এর বাড়িতে গরু চুরি করতে যায় একদল চোর। গরু নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে।
“এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ধাওয়া দিয়ে সোনাপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে মঞ্জুরুল ইসলামকে ধরে পিটুনি দিতে থাকে।”
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনের হাত থেকে মঞ্জুরুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় কয়েকজন তাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় আরও ২/৩ জন চোর থাকলেও তারা পালিয়ে যায় বলে জানান হারুন।
দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহা আলম বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিহতের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় বাড়ির মালিক আব্দুল বাছেদ বাদী হয়ে চুরির মামলা ও নিহত ব্যক্তির বাবা আজিজুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ২/৩ শ’ গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করেছেন।
নিহত মঞ্জুরুলের ছোট ভাই মমিনুল ইসলামের দাবি, মঞ্জুরুরুল ২০০৭ সাল থেকে মানসিক রোগী। সে গরু চুরি করতে যায়নি। লোকজন ভুল করে তাকে চোর ভেবে পিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেছে।