মেহেরপুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, প্রতারণার অভিযোগে ২০১৫ সালে হাফিজুর রহমান নামে এক ঠিকাদারের করা মামলায় গত ১০ অগাস্ট দুই বছরের সাজা হয় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী হারুণ-অর রশিদের। আদালত পরোয়ানাও জারি করেছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তিনি আপিলও করেননি।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, হারুণ-অর রশিদ অফিস করেছেন। তিনি নিয়মিত অফিস করেন বলে জানিয়েছেন পৌরসভার সচিব তৌফিকুল আলম।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি কেন গ্রেপ্তার হয়নি- জানতে চাইলে ওসি রবিউল বলেন, “সাজাপ্রাপ্ত প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছি, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
আদালতের রায়ের কাগজ না পাওয়ায় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেন সচিব।
প্রকৌশলী হারুণ বলছেন, “সাজাপ্রাপ্ত পাওয়ায় অফিস করতে পারব না রায়ে এমন কথা বলা নেই।”
সাজাপ্রাপ্তির পরও হারুণের অফিস করা নিয়ে ঢাকার আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকৌশলী হারুণ এ অবস্থায় অফিস করতে পারেন না। আপিল না করে, সাজা মাথায় নিয়ে অফিস করা আদালত অবমাননা।”
মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, আদালত থেকে সাজা ও পরোয়ানার আসামি কিভাবে নিয়মিত অফিস করছেন এবং আদালতের আদেশ প্রায় দেড় মাসেও কেন তামিল হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ নিয়ে মামলা সংশ্লিষ্ট পুলিশের গাফেলতি থাকলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।