ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।
আগামী মঙ্গলবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় এই উৎসব শুরু হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ জানায়, গত বছর জেলায় ১৪১টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হলেও এবার একটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২টিতে। এর মধ্যে ফেনী সদরে ৫৬টি, ফুলগাজী উপজেলায় ৩৫টি, সোনাগাজীতে ২৩টি, দাগনভূঞায় ১৭টি, পরশুরামে ছয়টি ও ছাগলনাইয়ায় পাঁচটি।
ফেনীর গুরুচক্র মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় শিল্পী কানাই পাল প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত।
কানাই পাল বলেন, এবার তিনি ১৮টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করছেন। মাটি, বাঁশ, খড় ও কারিগরের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না।
তিনি ছাড়াও শিল্পী সুশীল পাল, সুনীল পাল, মধুপাল ও শ্রীচরণ পালসহ ২০-২৫ জন কারিগর প্রতিমা তৈরি করছেন। এখন শেষ মুহূর্তের রং-তুলি ও বস্ত্র পরিধানের কাজ চলছে বলে জানান কানাই।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজা। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী পূজার পর বিসর্জনে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে।
ফেনী পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গির আলম সরকার জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মণ্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশের সঙ্গে আনসার-ভিডিপি সদস্য ছাড়াও দুইজন করে মহিলা আনসার নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও থাকবে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল।