গাজীপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2017, 12:33 PM
Updated : 22 Sept 2017, 12:39 PM

পুলিশ জানায়,উপজেলার চিনাশুখানিয়া এলাকায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ও ছয় মাস আগে একই উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে দুটি ঘটনায় মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

আসামিরা হলেন চিনাশুখানিয়া এলাকার রহিম উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া (৪৫), তার ভাতিজা রুবেল (২২) এবং তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া (বিদ্যাভিটা) গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ (২৬)। একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।     

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ওই শিশদের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে বলে পুলিশ জনিয়েছে। 

শ্রীপুর থানার এসআই মহসিন হোসাইন বলেন, গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিল্লাল হোসেন স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

“মেয়েটি ফিরে বাড়ির অন্য লোকজনদের জানালে তারা বিল্লালের কাছে এ ঘটনার বিচার চান।কিন্তু বিল্লাল ও তার লোকজন বিষয়টি গোপন রাখতে মেয়েটি ও তার মাকে হুমকি দিয়ে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটির মা এ ঘটনায় বিল্লালসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।  

অন্যদিকে তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামের আমান প্রায় ছয় মাস আগে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে শ্রীপুর থানার এসআই এখলাস জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে একটি জঙ্গলে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন আমান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে তাকে ও তার মা-বাবাকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে দেন তিনি।

“এরপর থেকে মেয়েটি মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি মেয়েটি তার মাকে ঘটনাটি জানালে বাড়ির লোকজন মেয়েটির  স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সে গর্ভবতী বলে জানতে পারে।

“মেয়েটির বাবা-মা আমনের উল্লাহর পরিবারের কাছে এ ঘটনার বিচার চাইলে তারা বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা অভিযোগ অস্বীকারও করেন।”

পরে স্থানীয়দের পরামর্শে মেয়েটির মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান তিনি।