যানজটের কারণে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সড়কটির যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, ভোর ৪টার দিকে টাঙ্গাইলের ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় একটি ট্রাক এক্সেল ভেঙে বিকল হয়ে যায়। এছাড়া একই এলাকায় আরও তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে।
“এতে ওই মহাসড়কে সব গাড়ি চলাচল প্রায় থেমে যায়, সৃষ্টি হয় যানজট। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় গাড়ি সরানো হলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।”
তবে গাড়ি চলাচল শুরু হলেও গাড়ির গতি আর বাড়েনি।
কোনাবাড়ির সালনা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ হোসেন সরকার বলেন, “কদিন আগে মেরামত করা হলেও বৃষ্টির কারণে আবার বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে। এ কারণে মসৃণ গতিতে গাড়ি চলতে পারছে না।
“সফিপুর, মৌচাক, চন্দ্রাসহ বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া কোনাবাড়ি ও কালিয়াকৈর এলাকায় রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ ও সংস্কার কাজ চলায়ও গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এর প্রভাব জয়দেবপুর-চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাস সড়কেও পড়ছে।”
সড়কটির খাড়াজোরা রেলওয়ে ভারব্রিজের পাশ থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় খানাখন্দ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চন্দ্রার ফরেস্ট অফিসের সামনেও গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
খানাখন্দ মেরামতের কাজ চললেও বৃষ্টির কারণে তা দ্রুত সম্পন্ন করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিন রেজা।
আর এ জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
টাঙ্গাইলগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, সকাল ৬টায় কোনাবাড়ি থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে বাসে উঠেছেন তিনি। কিছুদূর যেতেই পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় তীব্র যানজটে পড়েন।
এনা পরিবহনের যাত্রী ইমনেরও একই অভিযোগ।
“ভোর ৫টায় চন্দ্রা থেকে বগুড়ার উদ্দেশে বাসে উঠেছি। প্রায় দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল সব গাড়ি।”