রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানান মতিহার থানার ওসি মাহবুব আলম।
এরা হলেন, সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল আজীজ।
আজীজ মতিহার হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র এবং রুহুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রাবাসে থাকেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রক্টর লুৎফর রহমান।
ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সাব্বির হোসেন বলেন, “রুহুল আমীন ২০৩ নম্বর কক্ষে এসে আব্দুল আজীজের খোঁজ করে। পরে ২০২ নম্বর কক্ষে গিয়েও খোঁজ করে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে ও আজীজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিই।”
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তারা ছাত্রলীগের কক্ষের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। প্রথমে তাদেরকে শিবির হিসেবে সন্দেহ করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়।
মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আলী আসগর বলেন, “গার্ডদের কাছ থেকে শুনেছি দুইজনকে পুলিশ নিয়ে গেছে। তবে তারা কোন দলের তা আমি জানি না।”
ওসি মাহবুব আলম বলেন, “শিবির সন্দেহে দুজনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। আপাতত তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।”