এদিকে, কারাগারে বাইরে থেকে তুফানের জন্য মাদক সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বগুড়ার জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তুফান সরকারকে শনিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হাই সিকিউরিটি সেলে পাঠানো হয়েছে।
“কারাগারে তুফানের মাদক সরবরাহ করা এবং সেখানে মাদক সেবনের অভিযোগ তদন্তে রাজশাহীর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেনের এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
তিনি রোববার তদন্ত করতে বগুড়ায় এসেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। শেষ হলেই রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন বলে জানান।
বগুড়া কারাগারে থাকা অবস্থায় তুফান সরকারকে ফেনসিডিল সরবরাহ করা, বাইরে থেকে তার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া, সহাযোগীসহ তুফান সরকারের কারা হাসপাতালে থাকা এবং ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরীর সঙ্গে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে তুফানের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
তবে এসব অভিযোগ কারাকর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
“জেলখানায় ভিকটিমের সঙ্গে তুফান সরকারের দেখা করার কোনো সুযোগ ছিল না।”
বাইরে থেকে খাবার আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, “জেলখানা আগের মতো নেই। এখন ক্যান্টিন রয়েছে; তাই বাইরে থেকে খাবার আনার প্রয়োজন নেই। এখানেই উন্নত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।”
মাদকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কারাগারের প্রাচীরের ওপার থেকে কে বা কাহারা এক বোতল ফেন্সিডিল ভিতরে ফেলে দেয়। গোলাম রব্বানী বাবুল নামে এক হাজতি সেটি কুড়িয়ে নেন।
“এ ব্যাপারে তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তুফানকে কারাগারে নেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে রাখা হয়নি বলেও জেল সুপারের দাবি।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
ধর্ষণ ও মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় ওই কিশোরীর মায়ের করা মামলায় তুফান সরকার ও তার স্ত্রী আশাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।