জেলা প্রশাসক মোকাম্মেল হক জানিয়েছেন, ক্ষেতলাল, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর ও সদর উপজেলায় দুই-তিন দিন ধরে পানি বাড়ছে। পানি ঢুকেছে এসব উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২৫টি গ্রামে।
প্লাবিত এলাকায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর রোপা আমন ও শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।
আর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেছেন, এসব এলাকায় পাঁচ শতাধিক পুকুর ভেসে গেছে। এসব পুকুর থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মাছ পাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কেও পানি উঠেছে।
সরেজমিনে সড়কের বটতলি থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় এক কিলোমিটারে দুই থেকে তিন ফুট পানি দেখা গেছে। সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকায়ও দেড়-দুই ফুট পানি উঠেছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারজান হোসেন জানান, ধারকী এলাকায় তুলসীগঙ্গা নদীর কালিতলা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা আছে।