সোমবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, ধুনট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গোসাইবাড়ী, ভান্ডারবাড়ী ও শিমূলবাড়ী অংশে ইদুরের করা তিনটি গর্ত দিয়ে সকাল থেকে পানি প্রবেশ করেছে।
“আমরা স্থানীয়দের নিয়ে গর্ত ভরাটের কাজ করছি। তবে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়া কারণে বাঁধের ওই তিনটি অংশে ফাটলের আশঙ্কা রয়েছে।”
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল তালুকদার জানান, ইদুরের গর্ত দিয়ে বাঁধ চুয়ে আসছিল, সেটা বন্ধ করা হয়েছে। তবে অন্য অংশে এখন বন্ধ হয়নি। যে কোনো সময় ফাটল ধরতে পারে।
শিমুলবাড়ী গ্রামের বাবলু মণ্ডল বলেন,“ ২০০৪ সালে ইদুরের গর্ত দিয়ে পানি চুয়ে আসার পর বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল, আমাদের বাড়ি-ঘর, ধান চাল, তলিয়ে গিয়েছিল, সে সময় কোনভাবে পরিবার নিয়ে বেঁচে এসেছি। আজ ও আবার একই অবস্থা হয় কিনা।”
চুনিয়াপাড়া গ্রামের হোসেন মেম্বার বলেন, “বাঁধের একপাশে পুকুর আর আরেকপাশে ডোবা, সে জায়গা দিয়ে পানি চুয়ে পড়ছে। দেখলাম রাতেও কাজ হচ্ছে। আমরা রাত জেগে আছি কখন কি হয়।”