সোমবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রোমানা আক্তার।
জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার চার ভাইকে রোববার ভোরে অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আটক করে র্যাব। কিন্তু পরে জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই ওসমান সরওয়ার ওরফে বাপ্পীকে (২৪) ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বাপ্পী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক।
অন্য ভাইয়েরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর (৪০), উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজমগীর (৩৮), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ কাইয়ুম (৩০)।
লিখিত বক্তব্যে রোমানা আক্তার বলেন, তার স্বামীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে দল এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ইন্ধনে র্যাব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা দেখিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করেছে।
অভিযানের সময় বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করার পাশাপাশি আলমিরা ভেঙে ১৭ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে টাকা ফেরত দিলেও স্বর্ণালংকারগুলো ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উদ্ধার অভিযানের তালিকায় থাকা জিনিসপত্রের মধ্যেও স্বর্ণালংকারের কথা পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান জাহাঙ্গীরের স্ত্রী।
দলের কয়েকজন স্বার্থান্বেষী নেতা এবং বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট স্থানীয় মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা এ ঘটনা সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রোমানা আক্তার।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগ সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম, জিয়া উদ্দিন জিয়া, জি এম আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীরের মা রেজিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ ১৭ লাখ টাকা, দেশীয় তৈরি তিনটি বন্দুক, এক প্যাকেট ইয়াবা ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তোলা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, “প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া স্বর্ণালংকার নিয়ে এসে ফেরত না দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।”