ভাঙনরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ও হুমকিতে থাকা মানুষ।
সরেজমিনে চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ গ্রামে গিয়ে অন্তত ২০টি বাড়ি, অনেক জমি ও বেশকিছু দোকানপাট নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে।
ওই গ্রামের এস এম শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মধুমতীর তীরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলাম। কদিনের প্রবল বর্ষণে ভাঙন তীব্র হয়েছে। আমি জীবন বাঁচাতে পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি।
“তিন দিন আগে আমার বসতঘরটি নদীগর্ভে চলে গেছে। বসতঘর হারিয়ে সর্বহারা হয়ে গেছি। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানি না।”
জাহাঙ্গীর বলেন, “ইতোমধ্যেই কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের শৈলদাহ গ্রামের অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ও বেশ কিছু দোকানপাট নদীগর্ভে চলে গেছে।”
বাকপুর ও শৈলদাহ গ্রাম সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রবিউল ইসলাম।
তিন বলেন, “প্রশাসন বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে, কিন্তু তা কোনো কাজে আসছে না। এভাবে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব না।”
ভাঙনরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান শামীম বলেন, নদীভাঙনে অন্তত ২০টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। দোকানপাট হারিয়ে শৈলদাহ গ্রামের অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ বলেন, নদীভাঙনে ২০টি বসতবাড়ি ও দোকানপাট বিলীন হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে তা রোধের চেষ্টা করতে জরুরিভাবে বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে।
“ভাঙন প্রবল হওয়ায় নদীর পাশে থাকা পিরোজপুর-চিতলমারী সড়ক অধিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে নদ-নদীতে দিন দিন পানির চাপ বাড়ছে। এ কারণে ভাঙনও বাড়ছে।
“মধুমতী নদীর ভাঙনরোধে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। সরকার ওই প্রকল্পে বরাদ্দ দিলে ভাঙনরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”