আহত সাদেকুল ইসলাম (১৫) উপজেলার বান্দেরকুড়া গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় অরণ্য স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস জানান, “সাদেকুলের আঘাতগুলো গুরুতর। সারতে সময় লাগবে।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অরণ্য স্কুলের পরিচালক আনজুরুল হক সরকার মিন্টু মারধরের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
তিনি বলেন, “আপনারা সাংবাদিক হিসেবে তদন্ত করে দেখেন আসলে প্রকৃত ঘটনাটি কী।”
সাদেকুলের চাচা আফছার আলীর অভিযোগ, এই স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের বেতন ১২০০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।
“বেতন দিতে না পারায় সোমবার দুপুরে স্কুলের মাঠে সব শিক্ষার্থীর সামনে সহকারী শিক্ষক মনোয়ার হোসেন সাদেকুলকে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে তাকে স্কুলের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। স্কুল ছুটি হলেও তাকে ছাড়া হয়নি। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।”
কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ আফরোজা বেগম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় স্কুলের পরিচালক মিন্টু ও সহকারী শিক্ষক মনোয়ারের বিরুদ্ধে সাদেকের চাচা আফছার আলী মামলা করেছেন জানিয়ে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মামুন ভুঁইয়া।