সোমবার উপজেলার সাপলেজা মডেল হাইস্কুল মিলনায়তনে এ ঘটনার পর স্বতন্ত্র এ সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী সংগঠন দুটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন।
তিনি বলেন, মৎস্য সংরক্ষণ ও চাষ বিষয়ক উদ্বুদ্ধ করণ সভা চলাকালীন এমপি সাহেবের একটি বক্তব্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ হলে সভা শেষ হয়।
এ ঘটনায় এমপির পিএস মাসুম বিল্লা বাদী হয়ে হামলার অভিযোগ এনে সাপলেজা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. মিরাজ মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞতনামা ২০/২৫ জন আসামি করে মামলা করেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “সভায় এমপি স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যে দিলে সভাস্থল ও এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা এসে এমপিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে পুলিশ প্রায় একঘণ্টা পরে এমপিকে উদ্ধার করে বলে জানান ওই শিক্ষক।
তবে সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী অভিযোগ করেন, সরকারি কর্মসূচিতে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠান চলার সময় সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়ার নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এর মধ্যে ২/১ জন ছাত্রলীগের থাকতে পারে।
হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের চাল চুরিসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার থাকার কারণে এ হামলা হয়েছে।
মিরাজ মিয়া বলেন, “সমাবেশে আমিসহ আমার দলের নেতা কর্মীদের সন্ত্রাসী ও ডাকাত বলায় এলাবাসী ও নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঘণ্টা খানেক তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।”