সোমবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সবকটি গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। পরে মূল ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র জহিরুল ইসলাম বলেন, “উপাচার্য মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও, কর্মকাণ্ডে তিনি মুক্তিযুদ্ধে চেতনাবিরোধী।”
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেখানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রফিউল বলেন, “হলগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। রয়েছে পরিবহন সমস্যা। পাঠাগারে বই নেই। সেমিনার ফিও বাড়ানো হয়েছে।”
এসব সমস্যা সমাধানে উপাচার্যের কাছে বারবার দাবি জানিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তার।
এ কারণে অধিকার আদায় ও উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বলে ভাষ্য আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর।
বেলা ২টা পর্যন্ত সোমবারের বিক্ষোভ কর্মসূচির পর একই দাবিতে মঙ্গলবারও আন্দোলনে নামবেন বলে জানান অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র জহিরুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য এসএম ইমামুল হক ও প্রক্টর সফিউল আলমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।