সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শতবর্ষী কাঁকন বিবিকে।
তবে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাহবুবুল হক।
তিনি বলেন, “কাঁকন বিবির মাইনর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তবে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ্ হয়ে উঠছেন। দুই দিন অচেতন থাকার পর এখন ডাকলে মাথা নেড়ে সাড়া দিচ্ছেন।’’
১৯৭১ সালে কাঁকন বিবি তিন দিন বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে যুদ্ধে চলে যান। জুনে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন কাঁকন বিবি। তাদের বাঙ্কারে আটকে দিনের পর দিন তাকে নির্যাতন করে পাকিস্তানি সেনারা।
ছাড়া পেয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেন। রহমত আলীর দলে সদস্য হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ করেন তিনি। একইসঙ্গে চালিয়ে যান গুপ্তচরের কাজ।
টেংরাটিলা যুদ্ধের পর আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বালিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূরবীণটিলা, আধারটিলাসহ প্রায় নয়টি সম্মুখ যুদ্ধে তিনি অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে।