এ হত্যায় সহায়তা করার আরও দুইজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন শিশুটির বাবা ময়মনসিংহ সদরের বীরবাওলা গ্রামের নবী হোসেন (৫৫), তার দুই সহযোগী নেত্রকোণার পূর্বধলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের কোনাডহর গ্রামের ইসহাক মিয়া (৩৫) ও সবুজ মিয়া (৩৮)। এরা পরস্পর আত্মীয়।
রায়ের সময় নবী হোসেন ছাড়া বাকি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নবী হোসেন ২৭ বছর আগে পূর্বধলা উপজেলার কোনাডহর গ্রামের আয়েশা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের চার ছেলে ও তিন মেয়ের হয়।
২০১২ সালের মে মাসে দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হলে দুই সন্তান আব্দুর সালাম (১০) ও রোকসানা খাতুন (৮) বাবার কাছে থেকে যায়।
একই বছরের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই দুই সন্তানকে নিয়ে নবী হোসেন কোনাডহর গ্রামে স্ত্রীকে নিতে যান। কিন্তু আয়েশা রাজি না হওয়ায় ওইদিন সন্তানদের নিয়ে একই গ্রামে নবী হোসেন তার এক আত্মীয় ইসহাক মিয়ার বাড়িতে থাকেন।
রাতে রোকসানা মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না শুরু করে। তখন নবী হোসেন কান্না থামাতে গিয়ে রাগের মাথায় গলা টিপে ধরেন। এতে শিশুটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এরপর ইসহাক মিয়া ও তার ভাই সবুজ মিয়ার সহায়তায় শিশুটির মৃতদেহ চাদর দিয়ে মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মোকশেদ আলীর জঙ্গলে মাটি চাপা দেন।
পরে নবী হোসেনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন ঘটনাটি জানতে পেরে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর পূর্বধলা থানায় মামলা করেন। পুলিশ ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেয়।