মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া বলেন, “জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় আড়াইঘণ্টা বৈঠকে আমাদের যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।”
জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, “পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ছয় দফা দাবি খতিয়ে দেখে যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলো আমরা পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমাদের কথায় তারা সন্তুষ্ট হয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।”
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল-বিশ্বরোড থেকে কসবার কুটি চৌমুহনী পর্যন্ত অংশে ফোর স্ট্রোক থ্রি হুইলার, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটি চলাচল বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়।
ধর্মঘটের কারণে ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনাল ও মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো যাত্রীবাহী দূরপাল্লার ও লোকাল বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কেও যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের।