শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোরে তাদের আটক করা হয় বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান।
এরা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের ভাই পিন্টু দত্ত (৩৫) ও তার বন্ধু শান্তর ভাই রানা (৪০)।
ওসি মশিউর বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মান্নান তার দুই বন্ধু জুম্মন ও জনির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে রোড মুন্সিরহাট এলাকা থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সজীব ও তার বন্ধু শান্ত তাদের গতি রোধ করে।
“সেখানে মান্নানের সঙ্গে সজীব ও তার বন্ধুদের কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সজীব একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মান্নান ও জুম্মনকে কোপায়। এ সময় জনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।”
ওসি বলেন, “স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন।”
সজীব জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীরের ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটোর চাচাতো ভাই বলে জানান তিনি।
ঘটনার পর জনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক সপ্তাহ আগে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে সজীবের সঙ্গে মান্নানের হাতাহাতি হয়। এর জেরে সজীব এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।”
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সুব্রত কুমার দাস জানান, মান্নানের পিঠে, হাতে ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি।
আসামিরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে রেডএলার্ট জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।