সোমবার বিকাল ৩টায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয় বলে জানান শিমুলিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসি সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শাহ খালেদ নেওয়াজ।
এর আগে ডুবোচরে ফেরি আটকে চ্যানেল বন্ধ হয়ে সকাল ৭টা থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া তীব্র স্রোতে একে একে চারটি ফেরি ডুবোচরে আটকে যায়।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চরে আটকে রয়েছে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
এছাড়া স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শরীয়তপুরের সুরেশ্বরের কাছাকাছি চলে যায় ফেরি ফরিদপুর। পরে টাগবোট দিয়ে ফেরিটিকে টেনে শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে আনা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা খালেদ নেওয়াজ বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতও বেড়েছে।শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে স্রোতের তোড়ে ঘূর্ণাবাতের সৃষ্টি হয়েছে।
“এ চ্যানেল পারি দেওয়ার সময় ঘূর্ণাবর্তে পড়ে চালকরা ফেরির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। ফলে স্রোতের টানে ফেরিগুলো পার্শ্ববর্তী ডুবোচরে আটকে যাচ্চ্ছিল।”
তিনি বলেন, সোমবার ভোর পৌনে ৫টায় ২২টি যান নিয়ে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন লৌহজং টার্নিংয়ে আটকা পড়ে। এরপর একে একে ডুবোচরে আটকা পড়ে রো রো ফেরি শাহমখদুম, কে-টাইপ ফেরি ক্যামেলিয়া, ডাম্প ফেরি রায়পুরা।
উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি ৯০ ও ৯১ তিনটি ফেরি উদ্ধার করলেও ১৪ ঘণ্টা ধরে আটকে আছে ফেরি রহুল আমিন। ওই ফেরির যাত্রীরা ট্রলার ও স্পিডবোটে করে পদ্মা পারি দেয় বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা বলেন, স্রোতের কারণে রো রো, ডাম্প ও কে টাইপ ফেরিগুলো এ চ্যানেল পারি দিতে পারছিল না। ফলে বাধ্য হয়ে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়িগামী ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি বিকল্প চ্যানেল চালু করে দিলে বিকাল ৩টার দিকে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. সুলতান আহমেদ খান জানান, লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে কোনো নাব্যতা সংকট নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে টার্নিং পয়েন্টের মুখে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে; যার কারণে ফেরিগুলো এখানে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছিল।
“আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পরিত্যাক্ত বিকল্প চ্যানেলটি খুলে দিয়েছি। এখন শিমুলিয়া ঘাট ফেরিগুলো বিকল্প চ্যানেল দিয়ে কাঁঠালবাড়ি যাবে। আর কাঁঠালবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলো লৌহজং চ্যানেল দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসবে।”
এতে চ্যানেলগুলো সচল থাকবে। আর ফেরি পারাপারেও কোনো অসুবিধা হবে না বলে মন্তব্য করন তিনি।
এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকার কারণে শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন।