ঈদের ছুটিতে শাবির দুই হল বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ঈদের ছুটিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তিন হলের মধ্যে দুটি বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2017, 03:29 PM
Updated : 22 June 2017, 04:26 PM

সিন্ডিকেট সভা ছাড়াই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শাহপরান হল বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ছাত্রীদের দুইটি হলসহ ছাত্রদের সৈয়দ মুজতবা আলী হল বন্ধের ঘোষণা হয়নি।

গত ১৩ জুন শাহপরান হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদ-উল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে আগামী ২০ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত হল সম্পূর্ণ খালি থাকবে।

আর পরদিন বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট হাসান জাকিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পানির ট্যাংক ও পাইপ পরিষ্কারের জন্য ১৩ জুন থেকে হলে পানি থাকবে না; তাই সবাইকে হল ত্যাগ করতে বলা হয়।

ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে গত ৪ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও হলগুলো খোলা ছিল।

হল বন্ধের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শাহপরান হলের শিক্ষার্থী ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ বলেন, “বন্ধে বাড়ি না গিয়ে হলে থেকে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলাম। প্রশাসনের অনৈতিক সিদ্ধান্তে এখন হল ছাড়তে হল। এখন কোথায় থাকব?”

বঙ্গবন্ধু হলের মামুনুর রশীদ বলেন, “বন্ধের পর পরীক্ষা থাকায় হলে থেকেই পড়াশোনা করছিলাম। প্রভোস্ট এসে বারবার হল ত্যাগ করতে বলছেন। হল থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? আত্মীয় স্বজনও নেই।”

হল বন্ধ করতে হলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে উপাচার্য তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে নিয়ম রয়েছে।

কিন্তু হল বন্ধ করে দেওয়ার মতো জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সিন্ডিকেট সভা ছাড়া হল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণাকে বিধি বহির্ভূত বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিন্ডিকেট সভা ছাড়া কেউ কখনও হল বন্ধ করতে পারে না। এটা প্রশাসনের এখতিয়ারের মধ্যে নেই। এটা বিধিবহির্ভূত সিদ্ধান্ত।”

হল বন্ধের বিষয়ে শাহপরান হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় চলমান অবস্থায় হল বন্ধ করতে হলে সিন্ডিকেট সভার প্রয়োজন হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় সিন্ডিকেট ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

দুইটি হল ছাড়া অন্য তিনটি হল স্বাভাবিক থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি শুনেছি ওইগুলোও বন্ধ হওয়ার কথা; তবে কেন হয়নি তা ওই হলগুলোর প্রভোস্টরা বলতে পারবেন।”