শহরের কাটনারপাড়া এলাকার দি নিউ চান্দা ট্রান্সপোর্টের গোডাউন থেকে মঙ্গলবার রাত ৩টায় এসব আটক করা হয় বলে জানান রাজশাহীর কাস্টম, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীসহ আশপাশের এলাকায় প্লাস্টিক সামগ্রী ও পলিথিন ব্যাগ তৈরির কারখানাগুলোয় ঢাকা থেকে এসব কাঁচামাল অবৈধভাবে আনা হয়।
“সান, খান, হিমেল, মজিদ, রাজু, ফিরোজ, হাকিম, বাবলু, রাফু ট্রেডার্সসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে এসব আনা হয়। ভ্যাট-ট্যাক্সের কাগজপত্র না থাকায় এগুলো আটক করা হয়েছে।”
র্যাব ও পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় এসব আটক করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে পৃথক দুটি বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তবে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এগুলো বৈধভাবে কিনেছেন বলে দাবি করেন।
হিমেল প্লাস্টিক্সের মালিক আলী নূর বলেন, তিনি ঢাকার সাদিয়া ও সাদ ইন্টারন্যাশনাল থেকে মালগুলো বৈধভাবে কিনেছেন।
আটাপাড়া এলাকার ফিরোজ প্লাস্টিক কারখানার মালিক ফিরোজ তার মালগুলো ঢাকার আফ্রিনা ইন্টারন্যাশনাল ও কাশেম ট্রেডার্স থেকে কিনেছেন বলে দাবি করেন।
তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য ঢাকায় যোগাযোগ করছেন বলে জানান।
কাস্টম, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহীর ডেপুটি কমিশনার (কাস্টমস) মো. নূর উদ্দিন বলেন, সরকার বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে প্লাস্টিক কারখানাগুলোকে বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে এই শর্তে যে তারা প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করবে।
“কেউ তার অতিরিক্ত মাল কমিশনারের অনুমতি নিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে দেশের বাজারে বেচতে পারে। কিন্তু এ আইন তারা অমান্য করছে।”