ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এই মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তারগাছ এলাকায় সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “ঈদের ১০ দিন আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলমান ফোর লেনের কাজ এখন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি গার্মেন্ট, পণ্যবাহী গাড়ি, ওষুধ, পচনশীল খাদ্যদ্রব্য ছাড়া কোনো ভারী গাড়ি ঈদের তিন দিন রাস্তায় চলতে পারবে না।”
“জনস্বার্থে যা যা করা দরকার সবই করা হবে। আমরা আশা করছি জনস্বার্থে-জাতীয়স্বার্থে এটা সবাই মেনে নেবেন।”
বাস মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায়, এক্সসিডেন্ট হয়। রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে লম্বা টেইল বের হয়। তাই ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় না নামাতে আমি বাস মালিকদের অনুরোধ করছি।”
“আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে মহাসড়কে বেপরোয়া মনোভাব, বেপরোয়া ড্রাইভিং। আমি অবাক হয়ে দেখি আট লেনের রাস্তায় মধ্যরাতেও যানজট হচ্ছে।”
যানজট রোধে চালকদের ও মালিকদের এই মানসিকতার পরিবর্তন করে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ জানান তিনি।
ঘরমুখো মানুষ যাতে রাস্তায় বিপদে না পড়ে, অসহায়বোধ না করে, সে জন্য সড়ক-মহাসড়কে পুলিশকে সহযোগিতা করতে তরুণ নেতা-কর্মীদের ভলানটিয়ারের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে কাদের বলেন, “এ সময় জনগণকে যদি স্বস্তি দিতে না পারি, তাহলে এটা অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার হবে। এটা হবে আমাদের জন্য একটা নেতিবাচক দিক। এজন্য আমি প্রতিদিনই রাস্তা আছি, রাস্তায় থাকব। প্রয়োজনে ঈদের দিনও থাকব।”
এ সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএন নাহিন রেজাসহ সওজের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।