মৌলভীবাজারে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে মৌলভীবাজারের রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।

বিকুল চক্রবর্তী মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2017, 10:28 AM
Updated : 6 June 2017, 10:40 AM

মঙ্গলবার পশ্চিম বাজার এলাকায় মনু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য পয়েন্টে পানি কমলেও অন্তত ১০টি স্থান দিয়ে এ দুই নদীর পানি ঢুকে বিভিন্ন গ্রামের উপর প্রবাহিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, পশ্চিম বাজার এলাকায় মনু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহ হতে শুরু করায় দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম বলেন, গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি ছিলেন। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে পানি কমে যাওয়ায় এই মুহূর্তে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছে।

“রাজনগর উপজেলার কামার চাক ও টেংরা ইউনিয়নের বেশকিছু জায়গায় পানি রয়েছে। কুলাউড়ার নিশ্চিন্তপুর এবং কমলগঞ্জের আলেপুর থেকে এখনও পানি নামেনি।”

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে; তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কিছু ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জেলা প্রশাসক জানান।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, সোমবার বিকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। রাতেই পানি বিপদসীমার প্রায় এক মিটার নীচে নেমে যায়।

“মনু নদীর বিপদসীমা হলো ১৮ মিটার; রাতে রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৩৫ মিটার। কমলগঞ্জের ধলই নদীর বিপদসীমা হলো ১৯ দশমিক ৮২ মিটার; রাতের রেকর্ডে আসে ১৯ মিটার।

উজানের ঢল ও ভারীবর্ষণ না হলে এই মুহূর্তে নতুন করে আর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে তিনি মনে করেন।

পানি দ্রুত নামতে শুরু করায় চাঁদনী ঘাট এলকায় মনু নদী এবং শেরপুর অংশে কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান শংকর।