জুতার মালা পরানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে 

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ‘চাঁদা না পেয়ে’ এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে মারধরের পর জুতার মালা পরানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।   

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2017, 08:08 AM
Updated : 4 June 2017, 08:08 AM

নির্যাতিত আবদুল আউয়াল (৬৫) ও তার মা ছেমনা খাতুন শনিবার রাতে সোনাগাজী থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চাইলেও লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানায় পুলিশ।

ওই সময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছেও তিনি বিষয়টি জানান।  

নবাবপুর ইউনিয়নের গুয়ালিয়া গ্রামের আউয়াল বলছেন, “সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন প্রায়ই আমার কাছে চাঁদা চাইতেন। এর আগে তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আবার টাকা দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই।”    

“এর জেরে গত রোববার রবিনের নেতৃত্বে ‘তথাকথিত সমাজপতিরা’ আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গ্রামের জালাল উদ্দিন মসজিদের সামনে বাজারে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরায়।”

‘নিরাপত্তাহীনতার’ কারণে মামলা না করে কেবল মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানান আউয়াল। 

এ ব্যাপারে রবিনের ভাষ্য, আউয়াল দীর্ঘদিন ধরে নিজের বৃদ্ধ মাকে ‘মারধর’ করে আসছিলেন। এ কারণে স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ গ্রামের গণ্যমান্য লোকজন এ ঘটনার বিচার করেছে বলে তিনি শুনেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রবিন বলেন, “আউয়ালকে জুতার মালা পরানোর বিষয়ে আমি কিছু জানি না, এমনকি ঘটনাস্থলেও আমি ছিলাম না।”

এদিকে মাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আউয়াল।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আউয়ালের মা ছেমনা খাতুনও।

তিনি বলেন, “বিনা কারণে আমার ছেলেকে জুতার মালা পরিয়েছে রবিন। এখন আবার থানায় অভিযোগ করলে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে।”

এদিকে এ ঘটনার পর আউয়ালের গলায় জুতার মামলা পরা একটি ছবি দিয়ে রবিনের ফেইবুকেও পোস্ট করা হয়।

এ ব্যাপারে রবিন বলেন, “আমার আইডিটা কেউ হ্যাক করে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা করেছে। আমি পাঁচ ঘণ্টা পর আইডি উদ্ধার করেছি।”

রবিনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও ‘ধরাছোঁয়ার’ বাইরে থাকায় রবিনকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে ওসি মো. হুমায়ূনের ভাষ্য।     

তিনি বলেন, “আউয়াল ও তার মা থানায় এসেছেন বলে শুনেছি, কিন্তু এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। নির্যাতিতরা মামলা করতে চাইলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করা হবে।”