পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার গেন্ডা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয় বলে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) পরিদর্শক এ এস এম সায়েদ জানান।
পাঁচতলা ভবন ঘিরে রাখার পর নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পায়নি পুলিশ। সেখান থেকে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধারের খবরও পাওয়া যায়নি।
ওই ভবনের মালিকআনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা বাবু সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলে গেছেন।
বাবুর বাসায় সাতটি গ্রেনেড ও দুটি ল্যাপটপ থাকার সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা সায়েদ জানান।
বাড়ির মালিক আনোয়ার বলছেন, বাবু কোথায় গেছেন, তার স্থায়ী ঠিকানা-এসবের কোনো কিছু জানেন না তিনি। স্ত্রী ও দুই মাসের একটি শিশু সন্তান নিয়ে মাস দুয়েক আগে বাসাটি ভাড়া করেছিলেন বাবু।
“অভিযানের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি,” বলেন তিনি।
বাবুকে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন ভবনের আরেক ভাড়াটিয়া পিকআপ ভ্যানচালক মনির হোসেন।তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়নাল হকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা সায়েদ।
“বাবুকে ওই বাড়িতে মনির এনেছিল বলে তাকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
মনিরের স্ত্রী রিমু আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী ভাড়ায় পিকআপ চালান। সকালে গাড়ি নিয়ে বের হন তিনি।
মনির সাভারের রাজফুলবাড়ি এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে। তাদের সাত ও আড়াই বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে।
এই বাড়িতে অভিযান শেষ হওয়ার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাছের আরেকটি বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাপিউর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ছয়তলা এ বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়।
পরে কাউন্টার টেররিজমের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই বাড়িতে কিছু বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। সকালে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার পর ফের অভিযান চালানো হবে।”