প্রতিষ্ঠার নয় বছরে উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর পাঁচ বছর ধরে শূন্য কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করতেন উপাচার্য। তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক নূর-উন-নবী ২০১৩ সালের ৬ মে চার বছরের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। মেয়াদ শেষ করে গত ৫ মে আগের কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ইব্রাহীম কবীর জানান, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন ১৪টি পদ শূন্য রয়েছে। নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় এখন পুরোপুরি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।”
“উপাচার্য নূর-উন-নবী একাই ১৪টি পদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর এই পদগুলোও এখন শূন্য। বিভিন্ন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, ফল প্রকাশ থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আটকে গেছে।”
অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া না হলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় বছরে তিনজন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে অধ্যাপক নূর-উন-নবীই কেবল চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেন।
প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক লুৎফর রহমান। তিনি ২০০৮ সালে ১২ অক্টোবর যোগ দেন।
২০০৯ সালের ৫ মে লুৎফরকে সরিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগে তাকেও মেয়াদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়।