শনিবার আশিষ কুমার নামের ওই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এর আগে একইদিন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কাশিরা গ্রামের প্রবাসী তছলিম দেওয়ানের স্ত্রী নাছিমা বেগম এই আশিষসহ আটজনের নামে মামলা করেন বগুড়া সদর থানায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত মাসের ৮ই এপ্রিল নাছিমা বেগমকে বগুড়া শহরের কানুছগাড়ি এলাকায় অবস্থিত শাহ সুলতান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান জুয়েল নামের এক ব্যক্তি।
সেখানে ডাক্তার ও নার্স সেজে ভুল অপারেশনের মাধ্যমে নাছিমার গর্ভাশয় কেটে ফেলে দেওয়া হয় বলে মামলায় দাবি করেন নাছিমা।
পরে অন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ অভিযোগে শনিবার করা মামলার আসামিরা হলেন বগুড়া শহরের পালশা খন্দকার পাড়ার গ্যাদা সরকারের ছেলে জুয়েল সরকার (৩৮), ক্লিনিকের মালিক রেজাউল করিম (৪৫), ম্যানেজার অ্যাপোলো (৪৫), আশিষ কুমার, মানবেন্দ্র পাল নিলয়, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাথী ও শামিমা।
এদের মধ্যে আশিষ, মানবেন্দ্র ও হাবিব চিকিৎসক এবং সাথী ও শামিমা সেবিকা হিসেবে ক্লিনিকটিতে পরিচিত।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম আলী বলেন, এর সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গ্রেপ্তার আশিষ আসলেই ডাক্তার কিনা তার সপক্ষে কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
বিএমএ বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, “আশিষ কুমার নামে কোনো ডাক্তার আছে বলে আমার জানা নেই। ঘটনাটি আমি শুনেছি।”