বুধবার উপজেলার সীমাবাড়ি বাজার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের সার্টার খুলতে নামলে এ ঘটনা ঘটে বলে শেরপুর থানার এসআই আরিফ জানান।
এরা হলেন উপজেলার বেটখৈর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি সোলায়মান হোসেন (৫৫) ও ররোয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আয়নাল শেখের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
অসুস্থ ররোয়া গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে শ্রমিক সোহেল রানাকে (২৫) বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসআই আরিফ জানান, ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপন কুমার সীমাবাড়ি বাজারে বাড়ি নির্মাণ করছেন। প্রায় এক মাস আগে সেপটিক ট্যাংকের উপরে ঢালাই দেওয়া হয়।
“সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নির্মাণ শ্রমিকরা ঢালাইয়ের সার্টার খোলার জন্য ট্যাংকের মধ্যে নামেন। এ সময় সোলায়মান, আনোয়ার ও সোহেল রানা অচেতন হয়ে পড়েন।”
খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ, রায়গঞ্জ ও বগুড়ার শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সোলায়মান ও আনোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি আবদুল হামিদ জানান, “সেপটিক ট্যাংকের মুখ বন্ধ থাকলে ভেতরে বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড বা হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ট্যাংকে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসেই দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।”