মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত করেন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক আদিলুজ্জামান চৌধুরী।
কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান, “ময়নাতদন্ত হওয়া দুটি মরদেহই পুরুষের। মরদেহগুলো বিকৃত। মুখমণ্ডল চেনা যাচ্ছে না। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।”
বিকালে বেওয়ারিশ হিসেবে তাদের সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান ওসি সোহেল।
আতিয়া মহলে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। এর আগে এক পুরুষ ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত হয়েছিল।
এদিকে আতিয়া মহলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণে দ্বিতীয় দিনের কাজ শুরু করেছে ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
পাঁচ তলা ভবনটি থেকে একাধিক অবিস্ফোরিত আইইডি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমদ।
তিনি বলেন, ভবনে অনেক অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক রয়েছে। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই সব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে সময় লাগবে।
সোমবার থেকে সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে র্যাব।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকালে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে তাদের বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
গত ২৪ মার্চ দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল নামের পাঁচ তলা ভবন ঘিরে রাখে পুলিশ।
পরে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলের চার দিনের ‘অপারেশন টোয়াইলাইটে’ নিহত হয় এক নারীসহ চার জঙ্গি। ২৮ মার্চ বিকালে অপারেশন টোয়াইলাইট অভিযানের সমাপ্ত হয়। পরে পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ভবনটি।