শনিবার বিকালে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আহসান কবির।
তিনি বলেন, আতিয়া মহলে নিহত এক নারী ও এক পুরুষের মরদেহ পুলিশ নিয়ে আসে বেলা সোয়া ৩টার দিকে। বেওয়ারিশ হিসেবে তাদের দাফন করা হয়েছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় আতিয়া মহল থেকে এক নারী ও এক পুরুষের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। পরদিন তাদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এদের মধ্যে আতিয়া মহলে ভাড়াটে হিসেবে ওঠা এবং পরে অভিযানে নিহত মর্জিনা আক্তার নামের নারীর পরিচয় শনাক্তে বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সিলেট আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়া বৃহম্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘমারা থেকে জঙ্গি নেতা মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসার মা ও বোন আসেন সিলেটে। তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার অপারেশন শেষ হলেও সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানায় এখনও দুই মরদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়নি।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্য এবং নমুনা সংগ্রহকারী দল এখনও সিলেট না পৌঁছায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। তারা আসার পরই উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
জেদান আরও বলেন, ভবনের ভেতরে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকায় ভবনটি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা সিলেটে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হবে।
এছাড়া সিআইডি ও পিবিআই ক্রাইম সিন দেখবে এবং আলামত সংগ্রত করবে বলেও জানান জেদান।
গত ২৮ মার্চ বিকালে চার দিনের অভিযান শেষে সেনাবাহিনী ‘আপরেশন টোয়াইলাইট’ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে। পরে পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ভবনটি।
সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে মারা যায় চার জঙ্গি।
গত ২৪ মার্চ থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শিববাড়ির আতিয়া মহল নামের ওই পাঁচতলা বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। ২৫ মার্চ সেখানে কমান্ডো অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।