উপজেলার আগাইর গ্রামের তপন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিতে আসেন তিনি এখানে।
“যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যাই। কারণ, ছাদের যে অবস্থা, এটা কখন যে ভেঙে পড়ে!”
চাকরির আবেদনপত্র পাঠাতে আসা পৌর এলাকার মুক্তাও এই ঝুঁকির কথা বলেন।
“ভয়ে ভয়ে কাজ সেরে দ্রুত সরে পড়ছি।”
পোস্ট মাস্টার বেলাল হোসেন কদিন আগে এসেছেন এই মৃত্যুকূপে। তিনি বলেন, জীবিকার দায়ে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। আর পানি ও ধুলোবালি পড়ে প্রায়ই কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়।
“কদিন আগে এখানে এসেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন র্কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। হয় এটা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে, নয়ত মেরামত করলে যদি চলে সেটা যেন শিগগির করা হয়।”
বর্তমানে বেসরকারি কুরিয়ার, ট্রান্সপোর্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগেও এ অফিসে প্রতিদিন ১০-১২ লাখ টাকা আদান-প্রদান হয় বলে তিনি জানান।