শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে কালিগঞ্জ সেতু সংলগ্ন প্রায় এক বিঘা জমিতে যুবলীগের কার্যালয় নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করা হচ্ছে। তাতে কাজ করছেন সরকারের ১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির ৪৫ জন নারী শ্রমিক।
জায়গাটির উত্তর পাশে বারনই নদী, পূর্ব পাশে কালিগঞ্জ সেতু, দক্ষিণে বাজার আর পশ্চিমে কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই জমি তাদের বলে দাবি করলেও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোশাররফ বলছেন, এটি নদীর জায়গা।
শ্রমিকরা জানান, তারা সবাই সরকারের ১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক। উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের নিয়োগ করা সর্দার আব্দুল হালিমের অধীনে কাজ করছেন তারা।
শ্রমিক সর্দার আব্দুল হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আখের আলী ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেলওয়ার হোসেনের নির্দেশে যুবলীগের ক্লাবঘর করার কাজ করছি। এ কাজের জন্য আমি প্রতিদিন ২৫০ টাকা ও অন্য ৪৫ শ্রমিক ২০০ টাকা করে পাবেন।”
এ বিষয়ে কথা বলতে আখের আলী, দেলওয়ার হোসেনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
“অবশেষে এমপি সাহেব নদীর এই জায়গাতে ঘর করতে বলেছেন। তাছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী এখানে ঘর নির্মাণ করার লিখিত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।”
সরকারি শ্রমিকরা যুবলীগের অফিসের কাজে খাটছেন স্বীকার করে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুবলীগ নেতাদের অনুরোধে আমি এক বেলার জন্য শ্রমিকদের কাজ করতে পাঠিয়েছিলাম।”
কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক বলেন, যুবলীগের অফিস যে জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে সেটার ‘দাগ নম্বর ৯৮৪’। এটা ‘১৯৭৪ সালে রাধা গোবিন্দ বিগ্রহ কমিটি বিদ্যালয়কে দান করেছে’।
“আমাদের নিষেধের পরও যুবলীগের ছেলেরা সকাল থেকে ক্লাবঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।”
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাহান বলেন, যদি যুবলীগের অফিস নির্মাণ করার কাজে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের লাগানো হয় তাহলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।