শিবগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হাসান জানান, ময়দানহাটা ইউনিয়নের গাড়িদহ এলাকা থেকে শুক্রবার সকালে খাদিজা বেগম নামে ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
খাদিজার স্বামী আবু হাসান স্থানীয় একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তাদের ছয় বছর বয়সী মেয়ে হালিমা আক্তার সোহানাকে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সোহানা ময়দানহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খাদিজার মা আবেদা বেগম জানান, তার মেয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মানসিকভাবে খাদিজা ‘অসুস্থ ছিলেন’ এবং প্রায়ই ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করতেন।
আবেদা বেগম মেয়ের সংসারেই থাকতেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খাদিজা তার মাকে পানি আনতে পাঠান। ওই সময় তার স্বামী বাসায় ছিলেন না।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, আবেদা বেরিয়ে যাওয়ার পর খাদিজা ঘরের দরজা বন্ধ করে ‘বঁটি’ দিয়ে তার মেয়েকে কুপিয়ে জখম করেন।
“এ সময় হালিমা চিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন ছুটে এসে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন খাদিজা বঁটি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন।”
ওসি জানান, এলাকার লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে খাদিজাকে মৃত অবস্থায় পায়। পরে তারা হালিমাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বগুড়া মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম জানান, হালিমার নাক ও ঘাড়ের দুই জায়গায় জখম রয়েছে।
খাদিজার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।