বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে আকস্মিক এ ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের নিয়মানুযায়ী আমরা ইজারাদার হিসেবে ঠাকুরগাঁও শহরের বাস টার্মিনালের টোল আদায় করছি।
“কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় জেলা ট্রাক ট্যাঙ্কলরি কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা টার্মিনাল এলাকায় আমাদের টোল আদায়ের অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।”
এ কারণে মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন জেলার পাঁচ উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের এ পরিবহন ধর্মঘট ডাক দিয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি-কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মিঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাস টার্মিনালের সামনে টোল আদায়ের অফিসটি আমাদের। আমাদের অফিসটি সরিয়ে মটর মালিক সমিতি জোরপূর্বক সেখান থেকে টোল আদায় করার চেষ্টা করছিল।
মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে তিনি বলেন, তারা অযথা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি সমাধানে মটর মালিক, শ্রমিক, ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরিসহ শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটে ঠাকুরগাঁওয়ে সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ধর্মঘটের কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অনেক যাত্রীকে বাসস্ট্যান্ডে এসে ফিরে যেতেও দেখা গেছে।
আবুল হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, স্ত্রী, পুত্রবধূকে নিয়ে দুপুরে টার্মিনালে এসেছেন ঢাকা যাবেন বলে। বাস না চলায় যেতে পারছেন না।
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, “দিনাজপুর যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে এসেছি। কিন্তু টার্মিনালে বাস না পেয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।”