‘ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির’ ব্যানারে এ হামলা চালানো হয় বলে কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করলেও তারা তা অস্বীকার করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলায় অন্তত অর্ধশত লোক আহত হন। এ সময় খানকা শরীফের রাজ হাঁসের খামারে আগুন দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক টিয়ার গ্যাস সেল নিক্ষেপ করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, খানকা শরীফে অনৈসলামিক কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে এটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে শুক্রবার বিকালে ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় `ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটি’র ব্যানারে ‘কওমী মাদ্রসাভিত্তিক’ একটি গ্রুপ।
“পুলিশ ঘেরাও কর্মসূচি করতে না দিলে পরে দেড় কিলোমিটার দূরে চালতাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।”
ওসি আরও জানান, সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যার কিছু আগে একদল লোক খানকা শরীফের পেছন দিক দিয়ে হামলা চালায়। তারা সেখানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস সেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে।”
হামলাকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে ওসি জানান।
এ ব্যাপারে ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, হামলার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নন। অতি উৎসাহী একটি চক্র এ কাজ করেছে।
অপরদিকে হাক্কানী খানকা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক শাহ জোবায়ের হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ওই প্রতিষ্ঠানে অনৈসলামিক কোনো কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে না। তারা নিয়মিত নামজ আদায় করেন। তারা মুসলমান। যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।