একইসঙ্গে তিন শিক্ষককে আটক করে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জেলা প্রশাসন জানায়।
দণ্ডিত তিন শিক্ষক হলেন মো. ফায়জুর রহমান, আব্দুর রশিদ খান ও জসিম উদদীন। এরা সদর উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক।
এছাড়া কেন্দ্র সচিব মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা জানান, শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। লিখিত পরীক্ষা শেষে নৈর্ব্যক্তিক অংশের পরীক্ষা শুরু হলে কয়েকজন শিক্ষক হলে এসে তাদের সবাইকে ‘ক’ সেটের উত্তরপত্র ভরাট করতে বলেন। সেমতো প্রায় সব পরীক্ষার্থীই ‘ক’ সেট উত্তরপত্র ভরাট করেন।
জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, বিষয়টি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ মল্লিক ও শাকিলা বিনতে মতিনের নজরে এলে তারা তাকে (জেলা প্রশাসক) অবহিত করেন।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই কেন্দ্রে যান বলে জেলা প্রশাসক জানান।
তিনি আরও বলেন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় চার সেট প্রশ্ন। যে যেই সেট প্রশ্ন পাবে তাকে সেই সেটের উত্তরপত্র ভরাট করতে হবে। সেখানে কক্ষের সকলেই একটি সেটের উত্তরপত্র ভরাট করে।
“পরীক্ষার্থীদের এই অসুদাপায় অবলম্বনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় ১৪টি মাদ্রাসার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।