বুধবার শুরু হওয়া মেলায় আসা ওই বাঘাড়টির ওজন ৮২ কেজি।
প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার মেলা শুরু হওয়া এই মেলাকে স্থানীয়রা সন্ন্যাসীর মেলা, মাছের মেলা; আবার কেউবা জামাই মেলা বলে থাকে।
মেলার প্রথম দিন বুধবারকে বলা হয় জামাই বরণ এবং দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বউমেলা। ওই দিন শুধু মেয়েরাই কেনাকাটা করবে মেলায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইছামতি নদীর তীরে হাজার হাজার মানুষের কেনা-কাটার ধুম। মেলার বিশেষ ঐতিহ্য বড় বড় মাছ এবং বড় বড় মিষ্টি।
এবার পোড়াদহ মেলায় ৮২ কেজি ওজনের এক বাঘাড় এসেছে। মাছটি এনেছেন মহিষবাথান গ্রামের দুখু মিয়া। মাছটির দাম হাঁকা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
গাবতলী উপজেলার মড়িয়া গ্রামের মাছ বিক্রেতা ইসলাম বলেন, এবারের মেলায় তিনি ৪০ কেজি ওজনের কাতলা মাছ নিয়ে এসেছেন। মাছটির দাম হাঁকা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা।
মাছের পাশাপাশি মেলায় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি উঠেছে। মিষ্টিগুলো আবার বিভিন্ন আকৃতির। কোনোটা মাছ আকৃতির, আবার কোনোটা বিভিন্ন পশুপাখির আকৃতির।
সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের দোকানে মাছ আকৃতির ২০ কেজি ওজনের এ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে আট হাজার টাকায়।
মেলায় মাছ কিনতে আসা আসলাম উদ্দিন বলেন, তিনি বিদেশে থাকেন। ঈদে আসতে পারেনি। কিন্ত মেলা উপলক্ষে বাড়িতে এসেছেন।
মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের রেহান বলেন, মেলা উপলক্ষে তাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনে ভরে গেছে। মেলায় মাছ ও মিষ্টি কিনতে এসেছেন।
এ মেলায় মাছ, মিষ্টি, আসবাবপত্র, পান সুপারী, তৈজসপত্র, খেলনা থাকলেও মাছের জন্য বিখ্যাত।
মেলার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মহিষাবান ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, হাজার হাজার মানুষের পদচারণা হয়ে থাকে এ মেলায়। আশপাশের ২০ গ্রামের মানুষের কাছে বৃহত্তম উৎসব। মেলাকে কেন্দ্র করে জামাই ও মেয়েসহ আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া হয়ে থাকে।
“মাঘের শেষ বুধবার এই ঘটনা দেখার জন্য লোকজন জড়ো হতো। পরে এক সন্ন্যাসী নদীর তীরে একটি বটগাছের নিচে পূজার আয়োজন করেন।ওই পূজাকে ঘিরে মেলার শুরু হয়।”