জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় আজমল হুদা বলছেন, বুধবার ভোরে সদর উপজেলার ধলধরা চাঁদপুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত জুনাব আলী (৩২) ধলধরা গুচ্ছগ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা সুদর্শন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ বুধবার ভোরে মাগুরা-বিনোদপুর সড়কে টহল দেওয়ার সময় ধলধরা চাঁদপুর গ্রামে দেখতে পায়, রাস্তার পাশের মসুরক্ষেতে কিছু মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান করছে।
“পুলিশ ঘটনা তদন্তের জন্য গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা গুলি বর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থলে কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী জুনাবের মৃতদেহ পাওয়া যায়।”
এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সুদর্শন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা, রাম দা, ছ্যানদাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
“পুলিশের ধারণা তারা ডাকাতি বা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ওখানে সংঘবদ্ধ হয়েছিল।”
নিহত জুনাবের নামে মাগুরা সদরসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সুদর্শন।