বৃহস্পতিবার মাগুরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার ফিরোজ মামুন তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী কাজী সিরাজ মিহির
এদিকে জামিন পাওয়ার পর মিহির কান্তি তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে বাদীর উপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী ও তার আইনজীবী।
সিরাজ মিহির বলে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুদার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে।
“জামিন পাওয়ার পর মিহির কান্তি মজুমদার তার ভাড়াটিয়া লোকদের দিয়ে বাদী ডা. মকবুল হোসেন জীবনকে লাঞ্ছিত করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।”
এ সময় তিনি আদালত পুলিশের কাছে আশ্রয় নিলে তারা তাকে নিরাপদে পৌঁছে দেয় বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মকবুল হোসেন বলেন, একটি গ্রুপ তাকে মারপিট করে জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেছে। এ ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, মকবুল হোসেন জীবন নামে এক ব্যক্তি ধাওয়া খেয়ে তাদের কাছে আশ্রয় নেন। পরে তিনি পুলিশের গাড়িতে তাকে সদর থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিহির কান্তির কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার আইনজীবী আশরাফ হোসেন লিটন বলেন, বাদীকে লাঞ্ছিত বা মারপিটের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ কর্মী বরিশালের উজিরপুর থানার হস্তি সুন্দর গ্রামের জসিম উদ্দিন সরকার তার ফেইসবুক পেইজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত একটি লোগো ব্যবহার করে একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক নিয়ে একটি পোস্ট দেন।
“যেখানে তিনি প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। এতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার ক্ষুব্দ হয়ে মোবাইল ফোনে মামলার জসিম উদ্দিনকে গালাগাল করেন এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অসম্মানজনক কথা বলেন।”
বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানার পর মাগুরার একটি বে-সরকারি পলিটেকনিকের মালিক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন জীবন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারের বিরুদ্ধে গত বছর ২৪ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী।