ইন্দুরকানি ফিরল, স্বরূপকাঠীর কী হবে?

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলা আগের নামে ফিরে যাওয়ার পর নেছারাবাদের বাসিন্দারাও পুরনো নাম স্বরূপকাঠী করার দাবি তুলেছেন।

মো. হাসিবুল ইসলাম হাসান, পিরোজপুর থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2017, 05:57 PM
Updated : 9 Jan 2017, 06:23 PM

১৫ বছর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ইন্দুরকানি উপজেলাকে জিয়ানগর নাম দিয়েছিল। তখনকার সংসদ সদস্য জামায়াতে ইসলামীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এতে ভূমিকা ছিল। তিনি এখন যুদ্ধাপরাধের দণ্ড ভোগ করছেন।

তার আগে ১৯৮৫ সালে স্বরূপকাঠী উপজেলার নাম বদলে ছারছীনার পীর নেছারউদ্দিনের নামে করেন এইচ এম এরশাদ। একাত্তরে ছারছীনার পীর শাহ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার জিয়ানগর উপজেলার নাম পুনরায় ইন্দুরকানি করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় অনুমোদন হয়।

এখন বর্তমান নেছারাবাদের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধারাও আশা করছেন, সরকার তাদের উপজেলার আগের নাম ফিরিয়ে দেবে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জাহিদ হোসেন শহীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নেওয়া ছারছীনার পীর শাহ আবু জাফর ১৯৮৫ সালে এরশাদকে দিয়ে তার পিতা ছারছীনার প্রথম পীর নেছার উদ্দিন আহম্মেদের নামে স্বরূপকাঠীর নাম পরিবর্তন করেছিলেন।

“স্বরূপকাঠীর সাধারণ মানুষসহ মুক্তিযোদ্ধারা এই নামকরণের প্রতিবাদে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও তা কোনো সরকারই পরিবর্তন করেনি,” বলেন তিনি।

আনোয়ার মালিক নামে এক বৃদ্ধ বলেন, “এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সরকার, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন, আমাদের উপজেলার নাম নেছারাবাদ থেকে স্বরূপকাঠী করা হোক।”

জিয়ানগর উপজেলার নাম পুনরায় ইন্দুরকানি করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেছারাবাদ উপজেলার নাম খাতা-কলমে থাকলেও মানুষ স্বরূপকাঠী নামেই এ উপজেলাকে চেনে।

“নেছারাবাদ থেকে আবার স্বরূপকাঠী হোক তা এখানকার বেশির ভাগ মানুষই চায়।”