খাগড়াছড়িতে আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৪

খাগড়াছড়িতে বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2016, 02:12 PM
Updated : 16 Dec 2016, 02:18 PM

বিএনপি এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করলেও আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করেছে।  

শুক্রবার জেলা শহরের কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের এএসআই রাসেল, কনস্টেবল মাসুদ, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন আবছার, বিএনপি নেতা মোমিন আলী, রবিউল, দেলোয়ার, নাছির তালুকদার ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুল আলম।

এদের মধ্যে এমএন আবছারকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সংঘর্ষের সময় শহরের শাপলা চত্বরসহ আশপাশের সব সড়কে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চলাচলকারী লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।

এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাতসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের মাইনী ভ্যালিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে ফিরছিলেন। পথে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের কার্যালয়ের সামনে এলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের জন্য উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

নিজেদের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম বলেন, “জেলা বিএনপির বিজয় দিবসের র‌্যালি থেকে বিনা উস্কানিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ছয় নেতাকর্মীকে আহত করেছে।”

জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম সমর্থিতরা তাদের কার্যালয় থেকে বিএনপির শান্তিপূর্ণ র‌্যালিতে হামলা চালিয়ে ৮ নেতাকর্মীকে আহত করে।

“কিন্তু পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে উল্টো লাঠিচার্জ ও আমাদের কর্মীদের আটক করে নিয়ে যায়।”

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে এমএন আবছার নামে একজনের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের এএসআই রাসেল ও কনস্টেবল মাসুদ আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আট রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।