বিজয় উদযাপনে সারাদেশ

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছে বিজয় দিবসের নানা অনুষ্ঠান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2016, 04:37 AM
Updated : 16 Dec 2016, 09:16 AM

একাত্তরের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর ৪৫ বছর ধরে প্রতিবছর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় দিবসটি পালন করে আসছে দেশের সব এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেসব খবর পাঠাচ্ছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিরা।

বরিশাল

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে বরিশাল ডিসি অফিসের কাছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বরিশালবাসী।

বরিশাল

প্রথমে ফুল দেন মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস, ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন, জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান ফুল দেন।

বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

রাত সাড়ে ১২টায় নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে বধ্যভূমি স্মৃতিফলকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সকালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হয় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শেরপুর

শেরপুরে ৩১ বার তোপধ্বনির পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

জাতীয় সংসদের হুইপ শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক এ এম পারভেজ রহিম, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি ফুল দেন।

শেরপুর

এছাড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শেরপুর প্রেসক্লাব, শেরপুর উপজেলা পরিষদ, শেরপুর পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জেলা বিএমএ, বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

মুন্সীগঞ্জ

শহরের পুরনো কাছারিতে শহীদদের নামাঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সংগঠন।

মুন্সীগঞ্জ

এরপর মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে হয় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, লোকজ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কুমিল্লা

টাউন হল মাঠে সকাল সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকাল ৮টায় কুমিল্লা স্টেডিয়ামে বিভিন্ন কলেজ, স্কুল, ক্যাডেট রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠনের কুচকাওয়াজ হয়।

কুমিল্লা ক্লাব, রোটারি ক্লাব, উদীচী, যাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন বিজয় শোভাযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

ভোলা

ভোলার গজনবী স্টেডিয়াম থেকে তোলা ছবি

ভোলার গজনবী স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা, শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে প্রভৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন ভোলাবাসী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চাঁদপুর স্টেডিয়াম থেকে তোলা ছবি

ফিরিদপুর গোয়ালচামট স্মৃতিস্তম্ভ থেকে তোলা ছবি