এছাড়া আছেন আরও চার প্রার্থী। এই আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটির জন্য।
সরজমিনে দেখা গেছে, আসছে ২২ ডিসেম্বর ভোটের লড়াইয়ে জয় পেতে তারা মাঠে নেমেছেন জোরেসোরে। ভোটারদের দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা রকম প্রতিশ্রুতি।
দুই সহোদর হলেন - সিআই খোলা এলাকার বাসিন্দা সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম (মিষ্টি কুমড়া) ও তার ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম (ঘুড়ি)।
একই এলাকার বাসিন্দা মিঠু মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই ভাই-ই খুব জোরোসোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে তাদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। জয় সহজ হবে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর।
তবে বড় ভাই আব্দুর রহিম বলছেন, “প্রতিদ্বন্দ্বিী ছোট ভাইয়ের কারণে ভোট ভাগাভাগি হলেও কোনো ক্ষতি হবে না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে। ছোট ভাই বিএনপির রাজনীতির করে।
“বিএনপির কিছু পোলাপান নিয়ে ছোট ভাই মাঠে নেমেছে। আমাকে যারা ভোট দেয় তারা ওকে ভোট দেবে না। ইনশাল্লাহ্ নির্বাচনের ফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
ছোট ভাই সিরাজুল ইসলামও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তিনি অভিমান করে বলেন, “গতবার যখন আমি আমার বড় ভাইয়ের পক্ষে কাজ করেছি তখন তিনি বলেছেন আর নির্বাচন করবেন না। আমাকে সমর্থন দেবেন। আমি গত পাঁচ বছর ধরে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছি। প্রস্তুত হয়েছি নির্বাচনের জন্য। এখন বড় ভাই হঠাৎ করে প্রার্থী হয়েছেন। তবে আমি আশা করি এলাকার লোকজন আমাকেই ভোট দেবেন।”
অপরদিকে একই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী জুয়েলরোড এলাকার বাসিন্দা বাবা মো. ইউনুছ মিয়া (লাটিম) ও ছেলে ওমর ফারুক (ঝুড়ি)।
তবে এলাকাবাসীর ধারণা, বাবা নামেই প্রার্থী। আসলে তিনি কাজ করছেন ছেলের জন্য।
পাইনাদী জুয়েল রোড এলাকার বাসিন্দা ফজলে হাসান ও আহম্মদ আলী জানান, বাবা ও ছেলে প্রার্থী হলেও আসল প্রার্থী হচ্ছেন ছেলে ওম ফারুক। এই বাবা তার ছেলের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ছেলে ওমর ফারুকও সে কথাই বললেন।
“বাবা আগে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি এলাকায় আমার জন্য গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।”
গত নির্বাচনে তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান জানিয়ে বলেন, “পাঁচ বছর ধরেই আমি এলাকার লোকজনের সঙ্গে কাজ করেছি। তারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আমি আশা করি নির্বাচনে তারা আমাকে ভোট দেবেন।”
বাবা ইউনুছ মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ওয়ার্ডটির অন্য চার কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন - কামাল হোসেন খন্দকার, জাহিদুল ইসলাম, রওশন আলী ও আনোয়ারুল ইসলাম। তারাও এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আসছে ২২ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।