সোমবার গোপালগঞ্জে এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কেউ নিখোঁজ হলে আতঙ্কের কিছু নেই। নিখোঁজ নানা কারণে হতে পারে।
“আর নিখোঁজ হলেই যে জঙ্গিতে যোগদান করে তা না।”
তারপরেও যারা নিখোঁজ হয়; পুলিশকে জানানো হলে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়, বলেন তিনি।
গুলশান হামলার পর অনেক তরুণ নিখোঁজ জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তাদের কারো কারো ফিরে আসার খবরও পাওয়া যায়। ওই হামলার আগে নিখোঁজ কয়েকজন হামলায় জড়িত বলে প্রমাণ মেলে।
সম্প্রতি পাবনা মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্র নিখোঁজের খবর জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের একজন ফিরে এসেছে এবং অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে যায় বলে জানিয়েছে পরিবার।
সাম্প্রতিক এ নিখোঁজের বিষয়টি আবার আলোচনায় আসলে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা তৈরি হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঢাকা রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভালো বলেও দাবি করেন পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
পুলিশ প্রধান বলেন, “আমি অনেক জেলায় গিয়েছি; সেখানে সকলেই বলেছে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। যেখানেই যাই জনগণই বলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো।”
জঙ্গি বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা জঙ্গি সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাদেরকেও আমরা চাপে রেখেছি। জনগণ যেহেতু আমাদের সঙ্গে আছে, আমারা মনে করি না জঙ্গিরা আর কোনো ঘটনা ঘটাতে পারবে।”
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহাফুজল হক নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা, পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও ১৩ জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।