নিহতরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার রেদোয়ান সাব্বির (৩০), সোহেল ওরফে সাগর (২৮) ও আব্দুল্লাহ (২৭)।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকিপুর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রাম থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “তারা সবাই যুবলীগের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সাব্বিরের নামে নয়টি এবং আবদুল্লাহ ও সাগরের নামেও মামলা রয়েছে।”
“নাটোর সদর থানায় রোববার নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে জিডি করা হয়। লাশ উদ্ধার করার সময় তাদের সঙ্গে চারটি মোবাইল ছিল। এর মধ্যে তিনটি ছিল পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা।”
নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, নিহত রেদোয়ান সাব্বির ছিলেন পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আর সোহেল ও আব্দুল্লাহ ছিলেন যুবলীগের কর্মী।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি ইসরাফিল হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে বুলাকিপুর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রামে তিন তরুণের লাশ পড়ে থাকার খবর আসে।
“পুলিশ বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ওই গ্রামের রঘুনাথপুর কলাপাড়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন সড়কের পাশে আমবাগানের ভিতরে একটি পুকুরপাড় থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। দুইজনের মাথা ও কপালে এবং একজনের কপালে গুলির চিহ্ন রয়েছে।”
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানান ওসি ইসরাফিল।
লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক সাঈম হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল হাসান।
এ ঘটনায় তারা নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেননি। নিহতদের যুবলীগের নেতা-কর্মী দাবি করে তারা খুনিকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।