মঙ্গলবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় খন্দকার আজিজুর রহমান বলেন, “আনু মুহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ারও না, বিদ্যুৎকেন্দ্র দেখেনও নাই, চালানও নাই। উনি কিসের বিশেষজ্ঞ? উনি কি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ? উনি কি পাওয়ার প্লান্ট বিশেষজ্ঞ? হতে পারেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক।”
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা ঢাকা-রামপাল লং মার্চও করেছে। এছাড়া এ প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে সুলতানা কামালের নেতৃত্বাধীন সুন্দরবন বাঁচাও জাতীয় কমিটি।
মতবিনিময় সভায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র শতভাগ পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প উল্লেখ আজিজুর আরও বলেন, এটি সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিনির্ভর অত্যাধুনিক একটি প্রকল্প। এর দ্বারা সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকার মাটি, পানি, বায়ু এবং প্রাণিবৈচিত্রের কোনো ক্ষতি হবে না।
সভায় জানানো হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ আগামী বছরের জানুয়ারী মাস নাগাদ শুরু হবে। শুধু এই প্রকল্প ঘিরেই আগামী কয়েক বছরে এই এলাকার মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোল পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক, উপ-মহাব্যবস্থাপক নরেন্দ্র লোধ, প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভিসের (সিইজিআইএস) প্রতিনিধি প্রণব কুমার হালদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিআইএফপিসিএল ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।