সোমবার ভোর রাতে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ছাদের হোসেনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয় বলে ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান।
ডিমলা থানার এসআই ফিরোজ আহম্মেদ জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জয়নব বানু (২৮)। তিনি ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট রাজবাড়ী পাড়া গ্রামের জামিয়ার রহমানের মেয়ে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জামিয়ার রহমান ৯ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ডিমলা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ অক্টোবর জয়নব বানুর স্বামী মোস্তাফিজার রহমান, শ্বশুর ছাদের হোসেন, শাশুড়ি মোকছুদা বেগমসহ সাতজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করে বলে জানান এসআই ফিরোজ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে জয়নব বানুর সঙ্গে মোস্তাফিজার রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ছেলের পরিবার। কিন্তু ছয় লাখ দিলেও বাকি চার লাখ টাকা দেওয়া হয়নি।
এ কারণে জয়নবের উপর শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন চালাত।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে যৌতুকের বাকি চার লাখ টাকার জন্য জয়নবেব বাবার বাড়ি এসে মোস্তাফিজার তার বাবাসহ ছয় থেকে সাতজন বৈঠক করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা জামিয়ার রহমান টাকা দিতে না পারায় মোস্তাফিজার ও তার বাবা মা জয়নবের পরিবারের লোকজনের সামনেই জয়নবকে নষ্টা ও চরিত্রহীনা বলেন।
পরিবারের লোকজনের সামনে অপমান সহ্য করতে না পেরে অভিমান ও ক্ষোভে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যৌতুকের বাকি চার লাখ টাকার জন্য জয়নবকে নির্যাতন করা হতো। ওই টাকার জন্যই তাকে ‘নষ্টা মেয়ে’ বলেছিল তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
জয়নবের স্বামী মোস্তাফিজার রহমান লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান ওসি।